চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমার এই পোস্টটি আপনি একটু সময় নিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আমি আশাকরি পোস্টটি পড়ার পরে আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ইসবগুলের ভুসি প্রকৃতির এক দারুন উপহার, যা আমার ও আপনার সবার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে অনেকেই এই ভুসি কিভাবে ও কখন খেতে হয়, বিভিন্ন পুষ্টি গুণাগুণ, বিভিন্ন উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। আপনি যদি তাদের মধ্যে হয়ে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।
এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- খালি পেটে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ইসবগুলের ভুসির ঔষধি গুণাগুণ
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ডায়রিয়া নিরাময়ে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- পাইলসের সমস্যার সমাধানে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- খাদ্যনালীর প্রদাহ ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ইসবগুলের ভুসির উৎপত্তি ও পরিচিত
- ইসবগুলের ভুসির অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মগুলো সম্পর্কে আপনার মত সবাইকে জানা প্রয়োজন। ইসবগুলের ভুসি আপনার শরীর ও পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু অনেকেই এর স্বাদের কারণে খেতে পারে না। এজন্যই কার্যকর এবং মুখরোচক কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো, যা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করে নিয়ে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারবেন।
- পানির সাথে মিশিয়েঃ এই পদ্ধতিটি সবথেকে সহজ পদ্ধতি যেখানে আপনি একগ্লাস ঠান্ডা অথবা হালকা গরম পানি নিয়ে ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন। এরপর সঙ্গে আরও এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে ইহা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
- দই বা টক দইয়ের সাথে মিশিয়েঃ এই পদ্ধতিটি আপনার হজমে সহায়ক এবং পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। এজন্য একটি বাটিতে আপনাকে ১/২ কাপ টক অথবা মিষ্টি দই নিয়ে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ২-৩ মিনিট রেখে, সেই মিশ্রণটি খেয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি মুখে এক অন্যরকম স্বাদ এনে দিবে।
- মধুর সাথে মিশিয়েঃ এই পদ্ধতি আপনার আলসার ও অম্লতা কমাতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনাকে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসির সাথে ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি খাওয়ার পরে এক গ্লাস পানি পান করুন।
- জুস বা শরবতের সাথে মিশিয়েঃ এখানে জুস বা শরবতের জন্য আপনি লেবুর শরবত, বেলে শরবত বা অন্য কোন শরবত ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পছন্দমত যে কোন এক ধরনের শরবতের সাথে ১ চা চামচ ভুসি মিশিয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি আপনার গ্রীষ্মকালে হেটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করবে।
- ওটস বা কর্নফ্লেক্সের সাথে মিশিয়েঃ এই পদ্ধতিটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ১-২ চা চামচ ওটস বা কর্নফ্লেক্সের সাথে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে ১ গ্লাস ঠান্ডা অথবা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
আপনাকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, তা না হলে এটি আপনার হজমের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ রয়েছে তাদের জন্য ডাক্তারি পরামর্শ ব্যতীত ইসবগুলের ভুসি সেবন না করা উত্তম।
খালি পেটে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
খালি পেটে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া আপনার পেট ও হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে খাওয়ার ১ ঘন্টা পর খালি পেটে এটি সেবন করলে অত্যাধিক উপকার পাওয়া সম্ভব। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক-
- পদ্ধতি-১ঃ ১ গ্লাস হালকা গরম পানি নিয়ে সেখানে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটিকে ১ মিনিট ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে তা পান করে নিন। এরপর আরেক গ্লাস পানি পান করে নিন, যা আপনার পেটে ভুসিগুলো ভালোভাবে ফুলে সহজেই কাজ করতে পারে।
- পদ্ধতি-২ঃ হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ লেবুর রস বা ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে নাড়িয়ে পান করুন। তবে অনেকের মত আপনারও যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে এই পদ্ধতিটা এড়িয়ে চলায় উত্তম।
উপকারিতাঃ ভুসি অন্ত্রে পানি ধরে রাখে, ফলে আপনার মল নরম হয়ে সহজেই বেরিয়ে যাবে। খালি পেটে ভুসি খেলে তা আপনার ক্ষুধা মন্দা সৃষ্টি করবে, যা আপনার পেট ভরা অনুভব করাবে। এটি পাকস্থলীতে একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে সহায়তা করবে। রক্তে চিনি শোষণ মাত্রা ধীরগতি করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। এটি আপনার খাদ্য সহজে হজম করতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ইসবগুলের ভুসির ঔষধি গুণাগুণ
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পূর্বেই আপনাকে ইসবগুলের ভুসির ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। ইসবগুলের ভুসিতে বেশি পরিমাণে ক্যালরি থাকে না, তবে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা আপনার হজম, অন্ত্র পরিষ্কার ও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন ও পটাশিয়াম সরবরাহ করবে। এটি সরাসরি শক্তির উৎস না হলেও শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও ক্যালোর ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ইসবগুলের ভুসির অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে-
ক্রমিক নং | পুষ্টি উপাদান | পরিমান (প্রতি ১০০ গ্রামে) | দৈনিক চাহিদা পূরণের মাত্রা |
---|---|---|---|
১ | শক্তি (ক্যালোরি) | ৩৫০ - ৩৮০ Kcal | ১৮% - ১৯% |
২ | ফাইবার | ৮০ - ৮৫ গ্রাম | ২৮০% - ৩৫০% |
৩ | কার্বোহাইড্রেট | ৮৫ - ৮৮ গ্রাম | ২৮% - ৩০% |
৪ | প্রোটিন | ১.৫ - ২.০ গ্রাম | ৩% - ৪% |
৫ | ফ্যাট (চর্বি) | ০.৫ - ০.৬ গ্রাম | ১% এর কম |
৬ | ক্যালসিয়াম | ২০০ - ৩০০ মিঃগ্রাঃ | ২০% - ২৫% |
৭ | পটাশিয়াম | ৩০০ - ৪০০ মিঃগ্রাঃ | ৮% - ১০% |
৮ | আয়রন | ৪ - ৬ মিঃগ্রাঃ | ২৫% - ৩৫% |
৯ | ম্যাগনেশিয়াম | ৬০ - ৮০ মিঃগ্রাঃ | ১৫% - ২০% |
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
অনেকের মত আপনিও হয়তো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইরৈ এই আংশটি আপনার জন্য। আপনি জানলে অবাক হবেন ইসবগুলের ভুসির সবচেয়ে বেশি উপকারী হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাকে বোঝানো হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রের নিয়মিততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সাইলিয়াম ইসবগুলের ভুসি আপনার পচনতন্ত্রের নিচের দিকে যায় এবং এটি অন্ত্রে পানি শোষণ কর, ফুলে যায় এবং জেলির মত মল তৈরি করে মলকে নরম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মলের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সামঞ্জস্যের
উন্নতির জন্য সাইলিয়ামের কার্যকারিতা চোখে পড়ার মত। আরেকটি, সমীক্ষায় দেখা
গেছে যে, সাইলিয়াম এবং প্রুন ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং জীবন যাত্রার উন্নত
করতে সমানভাবে কার্যকর হবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যেকোনো সময় যখন তখন
ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।
আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন ১-২ বার ১-২ চা চামচ (৫-১০ গ্রাম) ইসবগুলের ভুসি নিয়ে ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ১ মিনিটের মধ্যে পান করুন। এটি সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে খালি পেটে অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করতে পারে।ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পর অবশ্যই আরো ১ এক গ্লাস পানি পান করুন তবে এটি নির্ভর করছে আপনার শরীরের উপর।
ইসবগুলের ভুসি খেতে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে এই মিশ্রণটির সহিত লেবুর রস, মধু বাদুই এর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, যা আপনার হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করবে এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করতে হবে। গর্ভবতী নারী ও দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ যারা সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ ব্যতীত ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।
হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। এর জন্য কয়েকটি নিয়ম রয়েছে তারমধ্যে কার্যকরী নিয়মটি অনুসরণ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই এক গ্লাস ঘোলের সাথে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন যেন এটি ভালোভাবে পানির সাথে মিশে যায়।
এরপর খাবার খাওয়ার পরে ইসবগুলের ভুসির মিশ্রণটি আবার ভালোভাবে মিশিয়ে
পান করুন। এটি আপনার হজমের সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করবে। কারণ ইসবগুলের ভুসি
পাকস্থলীতে বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতিটি খাবারের পরে ৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন
করার চেষ্টা করবেন।
আপনার যদি হজমের খুব বেশি সমস্যা থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়াতো উত্তম।
এছাড়াও আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা না থাকে তাহলে টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে
পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে লেবুর রস ও সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
তবে মুখের রুচির বৈচিত্রের জন্য কিছুদিন পরপর খাবার ধরন পরিবর্তন করা
উত্তম।
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই জানার প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে শরীরের ওজন কমানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য ইসবগুলের ভুসি একটি কার্যকর উপাদান আপনার জন্য হতে পারে।
প্রতিদিন সকালে হালকা গরম এক গ্লাস পানির সাথে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনাকে অবশ্যই সকালের নাস্তার আগে খেতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে এটি ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এটিকে বেশিক্ষণ না ভিজিয়ে, ভালোভাবে মিশিয়ে পান করতে হবে।
ইসবগুলের ভুসি পানিতে দ্রবণীয় একটি ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান, যা আপনার পেট ভরপুর মনোভাব তৈরি করবে এবং আপনার খোদা কমে যাবে। ফলে আপনি অতিরিক্ত খাওয়া রোদ করবেন এবং আপনার ওজন কমে যাবে। তবে একটি কথা মনে রাখবেন ইসবগুলের ভুসিটি খাওয়ার পরে আপনি তো অবশ্যই দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পর্যন্ত পানি অবশ্যই খেতে হবে।
ডায়রিয়া নিরাময়ে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
বিভিন্ন দেশে ডায়রিয়া নিরাময়ে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মটি খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকারী একটি পদ্ধতি। আপনার যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে ইসবগুলের ভুসিটি খেলে অবশ্যই উপকারিতা পাবেন। এজন্য আপনাকে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসির সঙ্গে ১৫ মিঃলিঃ টক দই মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।
মিশ্রণটি খাওয়ার পরে অবশ্যই আপনাকে ১-২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। দইয়ে থাকা প্রোবায়েটিক ও ইসবগুলের ফাইবার একসাথে অন্ত্রের স্বাভাবিক গঠন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ডায়রিয়া হলে সবসময় বেশি পানি ও তরুণ জাতীয় খাবার খাওয়া আবশ্যক। উপসর্গটি ২ দিনের বেশি স্থায়ী হলে এবং সাথে সাথে জ্বর অথবা রক্তমিশ্রিত পায়খানা হলে অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পাইলসের সমস্যার সমাধানে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
পাইলসের সমস্যার সমাধানে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো কারণ আমাদের দেশে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের সমস্যায় ইসবগুলের ভুসি অত্যান্ত কার্যকর একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। ইসবগুলের ভুসি মলকে নরম ও পরিপূর্ণভাবে গঠিত করতে সাহায্য করে, ফলে মল ত্যাগ করার সময় চাপ কম প্রয়োগ করতে হয়।
এর ফলে পাইলস রোগীদের পাইলসের যন্ত্রণা ও রক্তপাত অনেকটাই কমে যায়। এজন্য আপনাকে
দিনে ১-২ বার এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ ভুসি মিশিয়ে খেয়ে নিতে
পারেন। খাওয়ার পরে আরও এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক, যেন ভুসি আপনার
অন্ত্রে সঠিকভাবে ফুলে উঠতে পারে। এই মিশ্রণটি রাতে খাবারের ৩০ মিনিট পর
অথবা ঘুমানোর আগে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
আপনি যদি নিয়মিত পরিণত আকারে ইসবগুলের ভুসি খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, অন্ত্র পরিষ্কার থাকবে এবং পাইলসের উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে যারা দীর্ঘদিন পাইলসে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া উত্তম। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিক্স এবং প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খাদ্যনালীর প্রদাহ ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
খাদ্যনালীর প্রদাহ ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। যেসব মানুষের এসব সমস্যাই ভুগছেন তাদের খাওয়ার পরপরই পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করে ফলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, যা পেটে আরো অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
যাদের খাবার পরপরই এরকম সমস্যা হয় তাদের পাকস্থলীতে খাবারের দ্বারা সৃষ্ট এসিডের কারণে পেট বুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত আকারে ইসবগুলের ভুসি সেবন করেন তাহলে এটি খাবারের পর পাকস্থলীর গায়ে একটি আবরণ বা প্রলেপের সৃষ্টি করে, যা খাবারের দ্বারা সৃষ্ট এসিড থেকে পেট ও বুককে রক্ষা করে। ফলে খাদ্যনালীর প্রদাহ ও এসিডিটির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানা আবশ্যক। সবাই জানে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া করতে হয় খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইনসুলিন এবং রক্তের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তাদের বিভিন্ন খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীরা ইসবগুলের ভুসিকে তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, কারণ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সাইলিয়ামের মত ফাইবারগুলো মানুষের স্বাস্থ্যকর গ্লাইসেমিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ইসবগুলের ভুসিকে অন্তর্গত করা জরুরি। এজন্য আপনাকে দিনে ১-২ বার এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ ভুসি মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। খাওয়ার পরে আরও এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক, যেন ভুসি আপনার অন্ত্রে সঠিকভাবে ফুলে উঠতে পারে। এই মিশ্রণটি রাতে খাবারের ৩০ মিনিট পর অথবা ঘুমানোর আগে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন।গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা প্রায় দেখা দেয়, তখন ইসবগুলের ভুসি একটি উপকারী খাদ্য হিসেবে আপনার জন্য কাজে লাগতে পারে। এই ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রে পানি ধরে রাখে এবং মলকে নরম করে।
ফলে গর্ভবতী মায়েদের সাধারণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এই গর্ভকালীন সময় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। এই সময়কালে দিনে একবার বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন এবং পরে আরো এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন।
যেহেতু গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের শরীর আলাদা হয়ে থাকে সেহেতু ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। বিশেষ করে পেটের সমস্যার জন্য যদি অন্য কোন ওষুধ চলমান থাকে বা অতিরিক্ত গ্যাস, পেট ব্যথা কিংবা হরমোনজনিত সমস্যা থাকে। এই গর্ভকালীন সময় পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাদ্যগ্রহণের পাশাপাশি আপনি যদি ইসবগুলের ভুসি গ্রহণ করেন তাহলে পেটের সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ইসবগুলের ভুসির উৎপত্তি ও পরিচিত
একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ইসবগুলের ভুসির উৎপত্তি ও পরিচিত সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। আপনি যদি এই ভুসিটি একবার খান তাহলে অন্যদের মতো আপনারও এর প্রশংসা করতে হবে। এই ভুসিটি সাধারণত একটি গুল্ম জাতীয় গাছের বীজের খোসা থেকে তৈরি করা হয়। এই উদ্ভিদটির আদি অবস্থান ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। তবে বর্তমানে স্পেন, উত্তর আফ্রিকা, চীন, পাকিস্তানের কিছু অঞ্চল, ভারত এবং বাংলাদেশেও এর চাষ হয়ে থাকে।
এটি মূলত এক ধরনের রবিশস্য, যা অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চাষ হয়ে থাকে।
সাধারণত যখন ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে তখন এই ফসল চাষের
জন্য উপযুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই কাজগুলো ১.৫ থেকে ২
ফুট লম্বা হয়ে থাকে এবং ফলগুলো দুই কোষবিশিষ্ট হয়, যা সাধারণত ৭-৮ মিঃমিঃ
পর্যন্ত লম্বা হয়।
এই ফলগুলোর ভেতরে ৩ মিঃমিঃ-এর মত লম্বা বীজ থাকে, যা অনেকটা দেখতে নৌকার মতো হয়
এবং খোসার মধ্যে পিচ্ছিল জাতীয় মিউসিলেজ বা শ্লেষ্মা থাকে। দেশের বাইরে থেকে
সাধারণত Psyllium husk বলা হয়। এই শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ ডানাহীন
ফ্লি-মাছি। এর বীজগুলোকে দেখতে অনেকটা ফ্লি-মাছির মতো মনে হওয়ার কারণে এই
নামকরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও কিছু দেশে ধরে নেওয়া হয় ইসবগুল শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ থেকে, যার
অর্থ ঘোড়ার কান। খোসাগুলো আকারে এতটা ছোট যে কাছ থেকে বোঝা না গেলেও, আপনি যদি
একে বড় করেন তাহলে ঘোড়ার কানের মতোই দেখতে মনে হবে। ফল হতে খোসাকে আলাদা করা
একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে আধুনিক কিছু যন্ত্র ব্যবহার
করা হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ফ্লুইড এনার্জি মিল, বল মিল,
ভাইব্রেটিং মিল, পিন মিল ইত্যাদি।
ইসবগুলের ভুসির অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অপনি শুধুমাত্র ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন তা হবে না। আপনাকে ইসবগুলের ভুসির অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। তবে একটি কথা না বল্লেই নয় সবকিছুর মতো এই ভুসিটি পরিমিত পরিমানে সেবন করলে তেমন কোন অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় না। এছাড়াও যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ভুসির সেবনে অপকারিতা ও পার্শ্বপতিক্রিয়া বেশি পরিলক্ষিত হয়।
অপকরিতাঃ ইসবগুলের ভুসিতে আপনি ইতিমধ্যেই উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনেছেন। তবে এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম জানতে হলে এর অপকারিতাগুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। সাইলিয়াম অন্ত্রের বাল্ক তৈরি করে এবং এর রেচক প্রভাব রয়েছে, সেজন্যই এটি কিছু অপকারিতার প্রভাব বিস্তার করে।
আপনি যদি জীবনে প্রথম ইসবগুলের ভুসি খান অথবা দৈনিক প্রয়োজনীয় মাত্রার অধিক পরিমাণে ইসগুলের ভুসি খান সেক্ষেত্রে আপনার যেসব অপকারিতা লক্ষ্য করা যায় তা আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক-
- কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
- পেট ব্যথা এবং ক্র্যাম্প হতে পারে
- ডায়রিয়া হতে পারে
- গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে
- অম্লত্ব হতে পারে
- শ্বাসকার্যের সমস্যা হতে পারে
- চুলকানি হতে পারে
- চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি মতো হতে পারে
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা (বিশেষ করে মুখে ও গলার চারপাশে)
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ সাধারণত আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন রোগে
আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে এটি সেবনের ফলে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি নতুন অবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খান তাহলেও কিছু
কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক যেসব পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়াগুলো লক্ষ্য করা যায় সেগুলো সম্পর্কে-
- আপনি যদি দীর্ঘদিন ইসবগুলের ভুসি খান তাহলে শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবে, যা আপনার স্বাস্থ্যহানির কারন হতে পারে। সেজন্য পরিমিত আকারে নিয়মিত ২ মাস খাওয়ার পরে ১-২ মাস খাওয়া থেকে বিরতি দিতে হবে।
- গ্যাস, ফোলাভাব, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলো পরিলক্ষিত হবে। দীর্ঘদিন সেবনের ফলে এলার্জিও হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন।
- অন্ত্রে বাধা বা খিচুনি, গিলতে সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের ব্যথা অনুভব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং যারা সাইলিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিতে পারবেন না তাদের ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসি সেবন না করা উচিত।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ ব্যতীত এই ভুসিটি সেবন না করানোই উত্তম। যদি আপনি এটি সেবন করান তাহলে হিতের বিপরীত হতে পারে।
- আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধ সেবন করে তাহলে অবশ্যই ইসগুলের ভুসি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। কারণ অনেক সময় ওষুধের সাথে এই ভুসিটি রিয়াকশন করে আপনার শরীরের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
চমৎকার পদ্ধতিতে অতি সহজে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমি একটি কথাই বলবো, ইসগুলের ভুসি একটি উপকারী খাদ্য উপাদান। অনেকেই ইসগুলের ভুসিকে রাত্রে গ্লাসে ভিজিয়ে সকালে উঠে পান করে, যা হতে উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি হয়। ইসগুলের ভুসি পানি অথবা যে কোন কিছুর সাথে মিশানোর ৩০ মিনিটের মধ্যেই পান করে ফেলবেন।
মিশ্রণটি পান করার সাথে সাথে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করবেন। প্রয়োজন হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়া ইসগুলের ভুসি খেলে এটি গলায় আটকে যাবে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রতিদিন সকালে অথবা রাতে ইসগুলের ভুসি খাওয়া উত্তম। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ইসগুলের ভুসি বিশেষভাবে উপকারী।
এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, পেটের সমস্যার সমাধান করে, পেট ফোলা কমায়, শরীরকে সুস্থ রাখে, ত্বককে ভালো রাখে ও আরো অনেক উপকার করে থাকে। তবে একটি কথা আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কখনোই দইয়ের সাথে ইসগুলের ভুসি মিশিয়ে খাবেন না (যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে)। কারণ এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি ইসগুলের ভুসি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর। এই পোস্টে ইসগুলের ভুসির বিভিন্ন উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি এই পোস্টটি আপনাদের কাজে লাগবে এবং এই পোস্টের সাহায্যে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবেন। আজ এ পর্যন্তই ভবিষ্যতেই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, ইসগুলের ভুসিকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে............
অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url