OrdinaryITPostAd

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আমারে পোস্টটি কোথা থেকে শেষ পর্যন্ত একটু সময় নিয়ে পড়ুন। আশাকরি আপনি আপনার জানার সমাধানটি পেয়ে যাবেন। এই পোস্টে আমি কলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

ছবি-১

এই পোস্টে কলার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, বিভিন্ন উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কোন সময় কলা খেলে কি রকম উপকার পাওয়া যায় ও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি এই পোস্টটি আপনারা জানার পরিধি মেটাতে সক্ষম হবে।

এই পোস্টে আরো যা যা থাকছেঃ অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচেতন একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। কলা একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল, যা অতি সহজলভ্য, প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু হওয়ায় অনেকেই এটিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এই কলাতে বিভিন্ন ধরনের একটি উপাদান রয়েছে, যা আপনার দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

এর ফলে আপনার দেহের বিভিন্ন কার্যকারিতা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে আপনাকে সুখী ও সুস্থ জীবনের অধিকারী করে তুলবে। তাহলে আর দেরি না করে এখন কলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ কাঁচা অথবা পাকা উভয় ধরনের কলাতেই উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে। 

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ আপনারা জানেন কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।

মেজাজ ভালো রাখতেঃ এতে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদানটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরেোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা আপনার মেজাজ ভলো রাখতে সাহায্য করে এবং সাথে সাথে বিষন্নতা দূর করে। এছাড়া প্রতিটি কলায় আনুমানিক ২৭ মিঃ গ্রাঃ ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা মন ভালো রাখতে এবং ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য অত্যান্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে।

শরীরের ওজন কমাতেঃ কলাতে ক্যালোরি পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। যার কারণে ক্ষুধামন্দার সৃষ্টি হয় এবং পেট সবসময় ভরা আছে এরকম মনে হয়। ফলে আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে এবং শরীরের ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।

ত্বকের যত্নেঃ আপনি আপনার ত্বককে ভালো রাখতে চাইলে কলার মাখন ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সতেজতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেঃ কলায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি কিডনির কার্যকারিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে, যা কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাবে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আপনার দেহের পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে, যা কিডনির স্বাস্থ্যকে সবল করে।

রক্তস্বল্পতা দূর করতেঃ কলায় থাকা আয়রন আপনার রক্তস্বল্পতাকে দূর করতে সাহায্য করবে। এই আয়রন রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা রক্তস্বল্পতাকে দূর করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেঃ এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করবে। সেজন্য আপনার যদি স্মৃতিশক্তি কম থাকে তাহলে বেশি বেশি কলা খাবেন।

মানসিক চাপ কমাতেঃ কলায় থাকা পটাসিয়াম এবং ভিটামিন বি-৬ মানসিক চাপ কমাতে সাহাজ্য করে।  এটি আপনার নার্ভের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনাকে মানসিক প্রশান্তি প্রদান করবে। 

চুলের যত্নেঃ আপনার চুলে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কলা আপনার সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করবে। কলাকে পেস্ট করে চুলে লাগালে অপনার চুল মসৃণ ও উজ্জল হবে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে, যা আপনার চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে করতেঃ কলায় থাকা বিভিন্ন আন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে, যা ক্যান্সার রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। সকল ভিটামিনগুলোর মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

হাড়েকে শক্ত করতেঃ কলায় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা আপনার হাড়কে শক্ত করবে। আপনি যদি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার আর মজবুত হবে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে যাবে।

ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতেঃ কলাতে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে সেহেতু এটি আপনার জন্য ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে কলা খান তাহলে ভিটামিন বি-৬ এর চাহিদা ৫% পূর্ণ হবে এবং ভিটামিন সি ১৫% পূর্ণ হবে।

পেশী গঠন করতেঃ কলা সাধারণত খুব ছোট হওয়ায় ইহা বহনের সুবিধাজনক একটি জল খাবার, যা আপনার পেশীতে টান প্রতিরোধে সহয়ক হিসেবে কাজ করবে। এট শক্তি এবং পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট কার্বোহাইড্রেট সংমিশ্রণ প্রদান করে, যা আপনার পেশীকে চালাতে সাহায্য করবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতেঃ কলা এক ধরনের প্রতিরোধই স্টার্চ, যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সচল করবে এবং লিভারের যেয়ে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে আপনারা জানেন ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে অপক্ষয়িত খনিতে পদার্থ বের হয়ে যায়, যা এই গলার মাধ্যমে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারবেন।

পেটের আলসার প্রতিরোধেঃ অনেক সময় হজমে সমস্যা হলে তা পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি নিয়মিত আকারে হলে আস্তে আস্তে সেটি পেটে আলসারের রূপ নিতে পারে। কলার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান থাকার কারণে ইহা হজম শক্তিকে ত্বরান্বিত করে, যা পেটের আলসার প্রতিরোধ করতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ কলাতে বিদ্যমান ফাইবার আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ফলে ইহা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অথবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

ঘুমের মান উন্নতিকরণেঃ এতে থাকা ভিটামিন সি সেরোটোনিন তৈরি করে, যা আপনার ঘুমের মানকে উন্নত করবে এবং ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ঘুমের পরিমাণ যদি সঠিক হয় তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ কমে যাবে।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা কয়েকটি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা প্রয়োজন। অনেকের মত আপনিও যদি মনে করেন, রাতে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তাহলে আপনার ধারণাটা কিছুটা ভুল। কারণ ঘুম আপনার জন্য একটি খুবই উপকারী বিষয়, যা রাতে এই কলা খাওয়ার মাধ্যমে খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস, প্রেসার ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকে তাহলে রাতে কলা না খাওয়াই উত্তম।

কলাকে সাধারণত সুপারফুড বলা হয়। যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানি, মিষ্টি, ফাইবার এবং ভিটামিন রয়েছে। সেজন্য আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন পরিমিত আকারে কলা খেতে পারে সেটা দিনে অথবা রাতে হতে পারে। তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক রাতে কলা খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে-

  • রাতে কলা খেলে তা আপনার মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়তা করবে। সেজন্য রাতে কলা খেলে ঘুম সহজে আসে এবং এর পরিমাণ গভীর হয়।
  • কলাতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আপনার পেশিকে শিথিল করবে। ফলে রাতে আপনার পেশি টান বা খিচুনির সমস্যা কমে যাবে।
  • যেহেতু এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে সেহেতু আপনি যদি রাতে খাবার পরে একটি কলা খান তাহলে আপনার হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি বা পেট ফাঁপা কমে যাবে।
  • এতে থাকা পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। সেজন্য রাতে কলা খেলে আপনার হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
  • রাতে সাধারণত কম খাওয়া উত্তম, সেজন্য রাতে অনেকের ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া না খেয়ে যদি কলা খেয়ে থাকেন তাহলে অল্পতেই পেট ভরে যাবে এবং শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
  • আপনার যদি মিষ্টির উপর আকর্ষণ থাকে তাহলে কলাকে বেছে নিতে পারেন। এটি আপনার মনের চাহিদাকে মিটাবে সাথে সাথে আপনার শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

সকালে খালি পেটে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। অনেকের মত আপনিও যদি মনে করেন, সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া ঠিক নয় তাহলে আপনার ধারণাটা কিছুটা ভুল, কারণ কলা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। এটি সব সময় খাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতার উপর এটি প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

অনেকের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে কলা খেলে পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তবে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। সকালের শুরুতেই আপনি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে দিনের শুরুতেই আপনার শরীর পুষ্টিগুণ পেয়ে সতেজ হয়ে যাবে, যা আপনার দিনের কার্য সম্পাদনের জন্য সহয়তা করবে। আসল জেনে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

  • কলায় প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে, যা দ্রুত আপনার শরীরে এনার্জি সরবরাহ করবে। ফলে আপনি দ্রুত আপনার কর্মশক্তি পেয়ে যাবেন।
  • সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা গ্যাসের সমস্যা কমে যেতে পারে, কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করতে পারবে।
  • এতে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা আপনার শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে।
  • সকালে শরীর কিছুটা পানি শূন্য থাকে। ফলে আপনি যদি সকালে খালি পেটে কলা খান তাহলে কলার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট আপনার শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
  • সকালে খালি পেটে কলা খেলে ইহা আপনার ত্বক ও চুলের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে একজন গর্ভবতী নারী হিসেবে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। অনেকের গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রয়োজন হয়, যা অতি সতর্কতার সহিত গ্রহণ করতে হবে। এই সময়কালে মায়ের পাশাপাশি গর্ভে থাকা শিশুর অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। সেজন্য অনাগত শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য মাকে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।

শরীরে পুষ্টির মান বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কলা একটি আদর্শ খাদ্য হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্গত করতে পারেন। কারণ ডাক্তারের মতে, এই ফলটি একটি সুপারফুড। নিয়মিতভাবে গর্ভাবস্থায় আপনি যদি পরিমিত আকারে খান তাহলে এই ফলটির দ্বারা আপনি যেসব উপকারিতা পাবেন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

  • কলাতে থাকা ভিটামিন বি গর্ভবতী নারীদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে বমিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে আপনি গর্ভাবস্থায় এই ফলটিকে সকালের খাদ্য তালিকা অন্তর্গত করতে পারেন, যে আপনার সকালে দুর্বলতাকে দূর করতে সাহায্য করবে।
  • গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেক নারীর রক্তচাপ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় ইহা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। সেজন্য গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • প্রায় সময় দেখা যায়, গর্ভবতী নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে এবং শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিবে।
  • এতে থাকা ভিটামিন বি-৬, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড আপনার গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 
  • কলাতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আপনার গর্ভের শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠন তৈরিতে সহায়তা করবে।
  • গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। যেহেতু কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে সেহেতু ইহার হজমে সহায়তা করবে এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। সেজন্য প্রতিদিনের খাবার মেনুতে কলাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতার দিকগুলো সম্পর্কে প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। কাঁচা কলার আপনি নিশ্চয় জানেন বিশ্বের যে কোন দেশে বছরের সব সময় পাওয়া যায় এমন ফল গুলোর মধ্যে কলা খুবই সহজলভ্য বিশেষ পরিচিত একটি ফল। এই ফলটি সাধারণত কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতে খাওয়া যায়। আপনি যদি পাকা খেতে চান তাহলে ফল হিসেবে খেতে হবে, আর কাঁচা খেতে হলে সবজি হিসেবে খেতে হবে।

সাধারণত কাঁচা কলা পেটের সমস্যা অথবা ডায়রিয়া জনিত কারণের সমাধানের জন্য কাঁচা কলা খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কাঁচা কলায় থাকা এনজাইম ও আঁশযুক্ত ফাইবার ডায়রিয়া এবং পেটের সমস্যার সমাধানের কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি পেটের হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে এবং পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

ছবি-২

শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কাঁচা কলা আপনাকে সাহায্য করতে পারে কারণ এতে থাকা ফাইবার ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয়। এছাড়া এটি আপনার দেহের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। ভিটামিন বি-৬ রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে, যা আপনার হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।

বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা কলায় থাকা উপাদানগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কাজ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। 

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনি নিশ্চয় জানেন কলা আমাদের দেশ তথা বিশ্বের সকল দেশেই খুব সহজলভ্য একটি ফল। এটি বছরের যে কোন সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। সেজন্য এই ফলটির কদর অনেকের কাছে নেই বললেই চলে। তবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরে শক্তি যোগান দিতে এবং বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

পাকা কলা সাধারণত মিষ্টি হয়ে থাকে, যা আপনার জন্য প্রক্রিয়াজাত মিষ্টান্ন খাবারের বিকল্প কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। এই পাকা কলাতে প্রাকৃতিক চিনি ছাড়াও ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি প্রদান করতে সক্ষম। পাকা কলাতে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক-

  • পাকা কলা খাওয়ার ফলে আপনার বিষন্নতা কমে যাবে। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলো মস্তিষ্কে সুখী হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে।
  • এতে থাকা আয়রন, আপনার দেহের হিমোগ্লোবিন ও রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করবে।
  • পাকা কলা রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা গর্ভাবস্থায় আপনার সকালের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে।
  • পাকা কলার ভেতরের অংশ শরীরের জন্য তো কাজে লাগেই সাথে সাথে হলুদ খোশাগুলো আপনার রূপচর্চার জন্য কাজে লাগাতে পারেন।
  • আপনার শরীরের ওজন হঠাৎ কমে যায় অথবা অতিরিক্ত জ্বর আসে তাহলে কলা আপনার শরীরের শক্তির সঞ্চার ঘটাবে, যা তাড়াতাড়ি আপনার দুর্বলতাকে কাটিয়ে তুলবে।
  • পাকা কলায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং পটাশিয়াম এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
  • নিয়মিত পাকা কলা খাওয়ার ফলে আপনার দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁতকে সাদা ও ঝকঝকে মনে হবে।
  • পাকা কলাতে থাকা বিভিন্ন উপাদান আপনার শরীরের নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করবে, যা একজন ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
  • পাকা কলা ক্ষুদা মন্দা ঘটায় ফলে এটি আপনার শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি সবল দেহের অধিকারী করে তুলবে।
  • পাকা কলায় থাকা পটাশিয়াম শরীর থেকে বাড়তি ক্যালসিয়াম বের করে দেয়, যা আপনার কিডনির জন্য খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করে।

মিষ্টিতে ভরপুর সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা

মিষ্টিতে ভরপুর সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা প্রয়োজন। সাগর কালা বা সাগরী কলা বলতে সাধারণত আমরা বড় আকৃতির, মিষ্টি স্বাদের কলাকে বুঝে থাকি। এই কলাটি সাধারণত ভারত ও বাংলাদেশে বেশি পরিচিত। এই কলা থেকে অনেক সময় “ক্যাভেন্ডিস কলা” বা “পাহাড়ি কলা” বলে অভিহিত করা হয়। আসুন এই কলাটির কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

  • সাগর কলাতে প্রাকৃতিক চিনি যেমন-গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ ইত্যাদি রয়েছে, যা আপনার শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাবে। 
  • এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।  এছাড়াও এটি আপনার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে, যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
  • এই কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি কলা, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
  • ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকার কারণে ইহা শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদন করে, যা আপনার মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। 
  • এছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আপনার হারকে মজবুত করবে। 
  • এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
  • সাগর কলায় থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করবে।

গুণবতী কলা চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা

গুণবতী কলা চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। চম্পা কলা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ছোট আকৃতির সুগন্ধি ও টক-নিস্টের সাহায্যে একটি কলা, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। অন্যান্য কলার মত এই কলাতেও প্রচুর পরিমাণে চিনি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান রয়েছে, যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এই কলাটি আপনার দেহের দ্রুত শক্তি যোগাবে। সেজন্য এই কলাটি আপনি সকালের নাস্তা অথবা বিকালে হালকা খাবারের জন্য খাদ্য তালিকা অন্তর্গত করতে পারেন। অন্যান্য কলার মত এই কলায় অনেক উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। তাহলে আসুন এই কলাতে যেসব স্বাস্থ্য উপকারীতা রয়েছে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে।
  • গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর বিকাশে সহায়তা করতে।
  • ঘুমের মানকে উন্নত করতে।
  • ত্বক ও চুলের সুস্থতাকে বৃদ্ধি করতে।
  • মনকে ভালো রাখতে ও বিষণ্ণতা দূর করতে।

নিয়মিত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা সবার মত আপনারও জানা প্রয়োজন। কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা এত বেশি যে এটি আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। এটি আপনার শরীরে শুধু পুষ্টির যোগান দিবে তা নয়, এতে রয়েছে চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেহেতু সবাইকে জীবিকার তাগিদে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় সেহেতু শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে কলার ভূমিকা অপরিসীম।

আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর, যে কোন স্থানে এবং যেকোনো বয়সের মানুষ খেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে অন্তত একটি করে কলা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত জরুরি। আসুন নিয়মিত কলা খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

  • কলাতে শর্করা, কার্বোহাইড্রট এবং ফাইবার রয়েছে, যা আপনার শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করবে এবং কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে।
  • কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হৃদরোগের যদি কমাতে সাহায্য করবে।
  • এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামাইনো এসিড, যা সারোটোনিন উৎপাদন করতে সহায়তা করে এবং রাগ ও বিষন্নতা কমাতে সহায়তা করবে।
  • এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।
  • এতে থাকা ফাইবার আপনার ক্ষুধা মন্দা সৃষ্টি করবে, যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করবে।
  • এতে থাকা পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম আপনার হাড়কে মজবুত করবে।

কম উৎপাদিত বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা

কম উৎপাদিত বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। এই জাতীয় কলা সাধারণত খুব কম উৎপাদন করা হয়, কারণ এটি প্রচুর গুণসমৃদ্ধ হলেও বাজারে এর চাহিদা খুবই কম। এই কলাটি অন্য কলাগুলো থেকে তুলনামূলক মিষ্টি বেশি কিন্তু বিচি থাকার কারণে অন্যান্য কলা তুলনায় এর উপকারিতা অনেক বেশি।

এই কলার বিচিগুলো কালো ও খুব নরম, যা বলে খুব সহজেই চাবিয়ে খেতে পারবেন। সব কলার মধ্যে বিচি থাকে তবে এই কলার বিচির আকার কিছুটা বড়, যা পুষ্টিতে ভরপুর। তাহলে আর দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কলা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে-

  • এই কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা আপনার শরীরকে শীতল করে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করবে। ফলে আপনার শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
  • এই কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে আপনার হার্টকে সুস্থ্য রাখবে।
  • এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং ত্বককে মোলায়েম করে তুলবে।
  • আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত আকারে বিচি কলা খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
  • এটি আপনার ক্রিমি জাতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে।
  • এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান আপনার কিডনিকে সুস্থ্য রাখবে এবং মলদ্বারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে।
  • এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম উপাদানগুলো আপনার শরীরের হারে সঠিক বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
  • এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
  • এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।

কাঁচা ও পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা

কাঁচা ও পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা কয়েকটি রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। এতক্ষণ আপনারা কলার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন, এখন আমরা কলা খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জানব। আপনার দেহকে সুস্থ্য রাখার জন্য কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই জানতে হবে। তবে উপকারিতা তুলনায় অপকারিতার পরিমাণ খুবই কম।

পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতাঃ পাকা কলা কখনো খালি পেটে খাবেন না, কারণ এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া ঠিক নয় কারণ এটি পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির সমস্যা, পেশির খিচুনি, মাথা ঘোরা, হৃদপিন্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হওয়া ইত্যাদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী তবে তা পরিমিত আকারে। আপনি যদি পরিমাণের থেকে বেশি সেবন করে তাহলে হিতের বিপরীত হতে পারে। আপনার যদি ঠান্ডার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কলাকে এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারণ কলা ঠান্ডাকে প্রভাবিত করে এবং শরীরকে শীতল করে।

কাঁচা কলা খাওয়ার অপকারিতাঃ আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কাঁচা কলাকে এড়িয়ে চলায় উত্তম। কাঁচা কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার দেহের বিভিন্ন উপকার করার পাশাপাশি ডায়রিয়াজনিত সমস্যা সমাধান করে পায়খানাকে শক্ত করে, যা অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের রূপ নেয়।

এছাড়াও পাইলসের রোগীদের জন্য কাঁচা কলা বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে। কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে কাঁচা কলাতে ঢাকা প্রোটিন, এনার্জির কারণ হতে পারে। যার ফলে চুলকানি, ত্বক ফোলাভাব ও আরো অন্যান্য এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়াগুলো লক্ষ্য করা যায়। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা এবং এ্যাসিড দাঁতের সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।

কাঁচা কলায় সাধারণত পাকা কলার তুলনায় অধিক ক্যালোরি থাকে। সেজন্য আপনি যদি আপনার ওজন কমানোর দিকে মনসংযোগ করে থাকেন তাহলে কাঁচা কলা অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো হবে। এছাড়াও কাঁচা কলা ইস্টামিনের উৎস কিছু লোকের জন্য হাঁপানির সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। 

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

অবাক করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ১৮টি সম্পর্কে বলতে চাই কলা সহজলভ্য হওয়াই একে কম মূল্যায়ন করবেন না। আপনাকে মানতেই হবে কলা শুধু একটি খাদ্য নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক ও প্রতিদিনের সুস্থ জীবনের অন্যান্য উপাদান। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এবং গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে উপরের দুই উপকারিতার ক্ষেত্রে পরিমাণজ্ঞান বজায় রেখে খাওয়া উচিত। 

ছবি-৩

তা না হলে উপকারের জায়গায় অপকার হওয়া সম্ভবনা থাকতে পারে। এই পোস্টে আমি কাঁচা এবং পাকা কলার বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরি এই পোস্টটি মাধ্যমে আপনার কলার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। কলা যে একটি সুপারফুড তা এই পোষ্টের মাধ্যমে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন। 

এটি খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সের প্রয়োজন হয় না, যে কোন বয়সের মানুষই কাঁচা এবং পাকা উভয় ধরনের কলা খেতে পারেন। আমি বিশ্বাসকরি এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কলাকে অন্তর্ভুক্ত করবেন। আজ এ পর্যন্তই, ভবিষ্যতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।


সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, নিয়মিত কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ........

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url